ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে মিশরে ইসরায়েল ও হামাসের পরোক্ষ আলোচনা শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইসরায়েল-হামাস সংঘাত ও যুদ্ধবিরতি. আলোচনা: সর্বশেষ প্রস্তাব ও অবস্থান
শারম এল শেখে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে অপ্রত্যক্ষ আলোচনা শুরু হয়েছে, যা বর্তমান সংঘাতের সমাধানের জন্য একটি সম্ভাব্য বিন্দু হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত একটি শান্তি পরিকল্পনা, যা যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময়ের প্রস্তাব দেয়।
গাজায় চলমান সংঘাত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে চলে আসছে, যাতে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হয়েছিল। ইসরায়েলের জবাবী সামরিক অভিযানে গাজায় ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
শান্তি পরিকল্পনার মূল বিষয়
প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:· তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও humanitariaন ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের ব্যবস্থা
· ৪৮ জন ইরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি
· গাজা শাসনে হামাসের ভূমিকা বাদ দেওয়া
· একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সম্ভাবনা উন্মুক্ত রাখা
বিভিন্ন পক্ষের অবস্থান
হামাস: তারা আংশিকভাবে প্রস্তাবের সাথে একমত হয়েছে, বিশেষ করে বন্দী বিনিময়ের বিষয়ে। তবে নিরস্ত্রীকরণ ও তাদের ভবিষ্যত ভূমিকা সম্পর্কে সরাসরি কোনো স্পষ্ট বক্তব্য
দেয়নি।
ইসরায়েল: প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বন্দী মুক্তি নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের ধারণার বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়: যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও প্যালেস্টাইন অথরিটি আলোচনাকে সমর্থন করছে। ইরানও পরোক্ষভাবে এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন দিয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতি
গাজার ভূমিতে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে, বিশেষ করে গাজা সিটি এলাকায়। নতুন করে বাস্তুচ্যুত হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গাজায় মানবিক সংকট তীব্র হচ্ছে, যেখানে সাহায্য প্রবেশ সীমিত এবং বহু মৃতদেহ এখনো উদ্ধার করা যায়নি।
উভয় পক্ষের দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের গাজায় সরাসরি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এই আলোচনাকে গত ৭ অক্টোবর পর থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যা এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে


Leave a Reply